সিলেট::রান্না ভালো না হওয়ার কারনে নি জেলা সিলেটে রুপচাদাঁ সুপার শেফ ২০১৯ বাচাই পর্ব থেকে বিদায় নেন সিলেটের জকিগঞ্জের তাপাদার মোঃ কোহেল। সিলেটের একটি অভিজাতো সেন্টারে আয়োজিত অডিশন পর্বে অংশ গ্রহন করা প্রতিযোগিদের রান্না চুল চেড়া বিশ্লেষন করে বিচরাকরা মূল পর্বের জন্য সিলেট থেকে নেন দুই জন প্রতিযোগি কে রান্না ভালো না হওয়ার কারনে সেখান থেকে বাদ পড়ে যান সিলেটের জকিগঞ্জের কশকনকপুর ইউনিয়নের খোজার পাড়া গ্রামের মৃত ফখরুল হাসানের পুত্র তাপাদার মোঃ কোহেল। তার পর আত্মবিশ্বাস হারান নি কোহেল মনের মধ্য জ্বেদ চলে আসে জিত্বে হবে তাকে তার পর চলে যান ঢাকায় অংশ গ্রহন সেখান থেকে এক মাস পরিশ্রম শেষে জিতে যান রুপচাঁদা সুপার শেফ ২০১৯। দেশের শীর্ষ রন্ধনবিষয়ক প্রতিযোগিতা “রূপচাঁদা সুপার শেফ” ষষ্ঠ আসরে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার প্রায় দেড় হাজার রন্ধনশিল্পী অংশ গ্রহন করেন। সারা দেশ থেকে বাঘা বাঘা রন্ধনশিল্পীর অংশ গ্রহনে বাছাই পর্ব শুরু হলেও অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে মূল পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান মাত্র বিশজন প্রতিযোগী। এরপরে চ্যানেল আই’য়ে প্রচারিত রিয়েলিটি শো’তে এক এককরে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগীতার মুখোমুখি হন দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য সব রন্ধনশিল্পীদের দেওয়া নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জিং রেসিপির। ফাইনাল পর্বে আসতে দেশি, ইন্ডিয়ান, থাই, চাইনিজ, এরাবিয়ান, ইউরোপীয়ান সহ বিভিন্ন বিদেশী ফিউশন খাবারের পসরা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছিলেন কোহেল তাপাদার। ভাগ্যের চাকা গুরতে থাকে তাঁর। নিজের প্রজ্ঞা, মনোবল ও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে একে একে সবকটি রাউন্ডের শীর্ষে থাকেন তিনি। গত ৬ আগষ্টের রাত ৯:৩০ ঘটিকার শেষ পর্বে চ্যানেল আই এ সম্পাদিত তিনজন প্রতিযোগীর মধ্যে রন্ধনশিল্পে এক অনন্য দৃস্টান্ত স্থাপন করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের কসকনকপুর গ্রামের খোজার পড়ার মৃত ফখরুল হাসানের ছেলে ও রন্ধনশিল্পী তাপাদার মোঃ কোহেল । চ্যাম্পিয়ন পর্বে প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে তাঁকে রাঁধতে হয়েছে স্যুপ, এপিটেইজার, সালাদ, মেইন ডিস, ড্রেজার্ড সহ আরো কয়েক ধরনের মুখরোচক খাবার। তাপাদার মো ঃ কোহেল বর্তমানে রাজধানী ঢাকার গুলশানের হোটেল সিক্স সিজনে কর্মর্ররত আছেন। রন্ধনশিল্পকে ভালোবেসে রন্ধনচর্চা শুরু করেন প্রায় একযুগ আগে। ভবিষ্যতে রন্ধনজগতে আরো নতুনত্ব আনার ও নতুন নতুন রন্ধনশিল্পী তৈরী করে বিশ্বেরবুকে রন্ধনশিল্পীর দেশ বাংলাদেশ পরিচয় করিয়ে তুলতে চান দেশ সেরা রন্ধন শিল্পী কোয়েল তাপাদার ।ফ্যাইনাল রাউন্ডে যারা প্রতিযোগিতা করে প্রথম,দিত্বীয় ও তৃতীয় হয়েছেন তারা হচ্ছেন,প্রথম মোঃ কোহেল আহমদ তাপাদার, দ্বিতীয় হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার কানিজ ফাতেমা সুহাগী, তৃতীয় হয়েছেন সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার মেয়ে চ্যানেল এস ইউকের নিউজ প্রেজেন্টার রোহেনা সুলতানা দিপু। আলাপ কালে কোহেল তাপাদার জানান, রুপঁচাদা সুপার শেফ এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে গ্রাম তথা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা হাজারও রন্ধন শিল্পীর লালিত স্বপ্ন কিংবা নিজের ভিতর থাকা প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম। আর এমন একটি প্লাটফর্মে এসে নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে পেরে আমি অত্যান্ত আনন্দিত তিনি। কোহেল আরো বলেন হাটি হাটি পা পা করে কর্মজীবন যেমন করে সুদূঢ় ও প্রসারিত করেছি তেমনি রুপঁচাদা সুপার শেফ এর মতো একটি বিশাল প্লাটফর্মে নিজেকে যাচাই করতে গিয়ে অনেক চড়াই উৎরাই পার করতে হয়েছে, সেখানে হাজার হাজার প্রতিযোগির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজের স্থান অর্জন করেছি,তাও আবার নিজ জেলা সিলেটে প্রথমে বাচাই পর্ব থেকে আমাকে ক্যানসেল করা হয়েছিল তার পর আত্মবিশা¦স নিয়ে গুরে দাড়িয়ে চ্যাম্পিওন হয়েছি হয়তো সে দিন আমার রান্না ভালো হয় নি তাই বিদায় নিয়ে ছিলাম তার পরও আমি চ্যাম্পিওন এটা সত্যিই বড় আনন্দের। এ আনন্দ শুধু আমার নয় সিলেট তথা গোটা দেশবাসীর। সর্বোপরি আমার সাফল্য অর্জনের পিছনে রয়েছে সকলের দোয়া ভালোবাসা এবং সম্মানিত বিচারকগনের বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত যার ফলে আজকে আমার এই সাফল্য। রুপঁচাদা সুপার শেফের মতো একটি রিয়েলিটি শো ভবিষ্যতে আরো অনেক সফল সুপার শেফ তৈরি করবে এটা আমার কামনা। অনুষ্ঠান শেষে চ্যাম্পিয়নকে প্রদান করা হয় রুচাঁদার পক্ষথেকে পাচঁ লক্ষ টাকা ও চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রেষ্ট ,দ্বিতীয় পুরুষ্কার তিন লক্ষ টাকা ও ক্রেষ্ট, তৃতীয় পুরুষ্কার দুই লক্ষ টাকা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।